Blogger WidgetsPrint Blogger Widgets

Wednesday, December 11, 2019

পর্তুগালে বৈধতা/রেসিডেন্স পারমিট পেতে কি কি করণীয় ?



পর্তুগালে বৈধতা/রেসিডেন্স পারমিট পেতে কি কি  করণীয় ? 
(আপডেট ২৪ নভেম্বর ২০১৯)
পর্তুগালে ইমিগ্রেশন : অবৈধদেরও বৈধ হওয়ার সুযোগ আছে পর্তুগালে . এই শিরোনামে আমার করা ২০১৩ সালে প্রথম পোস্ট ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে সম্পূর্ণ প্রসিডিউর . তারপর ২০১৬ আবার মডিফাইড করে পোস্ট করেছিলাম আইন কানুনের কিছুটা পরিবর্তনের কারণের . এবার অনেক লম্বা সময় পর আবার কিছু আপডেট সহ লিখতে হচ্ছে . উচ্চশিক্ষা নিয়ে ইতিপূর্বে একটি পোস্ট করেছিলাম পর্তুগালের, যারা পড়েনি পরে নিবেন . এই পর্বে  থাকছে অভিবাসন নীতি নিয়ে ধারাবাহিক পর্ব . কি কি শর্তের ভিত্তিতে আপনি পর্তুগালে বৈধতা পেতে পারেন তার আলোচনা . আসুন কথা না বাড়িয়ে মূল পর্ব শুরু করি .
আপনারা অনেকেই জানেন যে ইতালি তে কয়েক বছর অন্তর অন্তর Amnesty International ও ইতালিয়ান ইমিগ্রেশনের অধীনে ইতালিতে অবস্থিত অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরনের জন্য ডিক্লেয়ার  দিয়ে থাকেন কিছু শর্তের ভিত্তিতে। যেটা একেক বছর একেক রকমের হয়ে থাকে।যেমন গতবার ডিক্লেয়ারের সময় শর্ত বেধে দেয়া হয়েছিল নির্ধারিত সময়, উদাহরন স্বরূপ বলা যায় তারা একটা টাইম বেধে দিল যে আপনাকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ইতালিতে প্রবেশ করেছেন এমন সব প্রমানাধি দেখাতে হবে।যদি আপনি এমিনেস্টী ইন্টারন্যাশনাল এর অধীনে ইতালিতে পেপারস নিতে চান।
আবার যেমন ২০১২ সালে পোল্যান্ডে ও এমিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বৈধতার ঘোষণা দিয়েছে, কিছু শর্তের ভিত্তিতে অনেকটা ইতালিয়ান শর্তের মতই। তবে পর্তুগালের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়। আর পর্তুগালের বিষয়টা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে একটা ডাইরেক্টটিভ বা আইন পাশ করা যার ভিত্তিতে পর্তুগাল অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করে যাচ্ছেন ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে। পর্তুগালে ইতালির মত কোন ডালাউ ডিক্লেয়ার দেয় নাই, আর দিবে ও না। যারা উল্লেখিত শর্ত পুরন করবে তারা সবাই পর্তুগালে বৈধ হতে পারবে যে বিষয় গুলো এই  পোষ্টে উল্লেখ করে দেওয়া হবে । পোস্টটা একটু খেয়াল করেন পড়লে তাহলে আরও ভালো করে বুঝতে পারবেন . পর্তুগালের মূলত ২ টা আর্টিকেল এর ভিত্তিতে অভিবাসীদের বৈধতা দিচ্ছে সেটা হচ্ছে আর্টিকেল ৮৮-২ আর আর্টিকেল ৮৯-২ . ৮৮-২ হচ্ছে যারা পর্তুগালের অন্যের অধীনে জব করে রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য আবেদন করবে , আর ৮৯-২ হচ্ছে সেলফ ইমপ্লয়েড যারা তাদের জন্য . ৮৮-২ তুলনামূলক সহজ হওয়ায়ে সবাই এই আর্টিকেলে ই পেপার এর আবেদন করে
যাই হোক এবার নিচের শর্তাবলী গুলো ভালো করে লক্ষ্য করুণ এবং এই শর্তাবলী পুরনের ফলে আপনারা যেকেউ পর্তুগালে বৈধ হতে পারবেন।
আপনাকে ইউরোপে বৈধভাবে কোনো সেনযেনভুক্ত দেশের ভিসা নিয়ে ইউরোপে  প্রবেশ করেছেন এবং 
  •  আপনি যখন  পর্তুগাল যাবেন যাবার ৩ কর্ম দিবসের  মধ্যে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে আনতে হবে বা আপনি এ হোটেলে অবস্থান করেছেন সেখান থেকে লিগ্যাল এন্ট্রি ফরম ফিলাপ করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে .  তার প্রমানাধি দেখাতে হবে অর্থাৎ আপনাকে ইউরোপের সেঞ্জেন ভুক্ত যেকোনো দেশের ভিসা নিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে হবে। (তবে সাইপ্রাস, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ইউকে, আয়ারল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া এই দেশসমুহের ভিসা বাদে). লিগ্যাল এন্ট্রি বলতে আপনি সরাসরি পর্তুগাল ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে গিয়েছেন তার ডকুমেন্টস এবং  ভালিড ভিসা ভিসা কপি সেটা এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন এর মাদ্ধমে করতে পারবেন বা সেনজেন অন্য কোনো দেশ থেকে গেলে সেটা হোটেল থেকে নিতে পারবেন . বর্তমান বাঙালি এরিয়ায় অনেক হোস্টেল আছে যারা ২৫/৩০ ইউরোর বিনিময়ে এটা করে দেয় . যাদের অন্য দেশের ন্যাশনাল ভিসা বা ডি ভিসা আছে তাদের জন্য বাধ্যতামূলক না তবে ঝামেলা এড়াতে করে রাখতে পারেন লিগ্যাল এন্ট্রির কাজ.  লিগ্যাল এন্ট্রি নিয়ে নিচের ছবিটি ভালো ভাবে পড়ুন 

আর সেনজেন ভুক্ত দেশ থেকে আপনি পর্তুগালে বৈধভাবে প্রবেশ করেছেন যেমন বিমানের টিকেট, মাসের টিকেট বা ট্রেনের টিকেট ইত্যাদি দেখাতে হবে (যদিও ইমিগ্রেশন থেকে আগে এইসব চাইত না কিন্তু এখন এইসব বাধ্যতামূলক লাগবে। সো আপনার টিকেট, বোর্ডিং পাশ যত্ন সহকারে রেখে দিবেন .
২য়ত - পর্তুগাল প্রবেশের পর আপনাকে নিজস্ব আইডেনটিফীকেশান নাম্বার   (পাসপোর্ট) দেখিয়ে ট্যাক্স অফিস থেকে ট্যাক্স কার্ড করিয়ে নিতে হবে। পর্তুগিজ ট্যাক্স নাম্বার . এটাকে NIF বলা হয়ে থাকে. -Número de Identificação Fiscal (NIF) ( খরচ পড়বে ১০.২০ ইউরো ) তবে সাথে পর্তুগালে যেকোনো বৈধ ব্যাক্তির রেফারেন্স লাগবে অর্থাৎ ট্যাক্স কার্ড করতে যাদের পর্তুগাল পার্মানেন্ট  রেসিডেন্স কার্ড আছে অথবা পাসপোর্টধারী তাকে সাথে যেতে হবে। আগে পর্তুগালে ট্যাক্স কার্ড করতে যেকোনো রেসিডেন্স ধারী ব্যাক্তি গেলে ই কাজ হয়ে যেত বাট এখন পার্মানেন্ট রেসিডেন্সধারী ব্যাক্তি বা জার পর্তুগীজ পাসপোর্ট আছে এমন ব্যাক্তি আপনার সাথে নিয়ে যেতে হবে . অন্যথায় একজন উকিল এর সাহায্য নিতে পারেন যার জন্য আপনাকে ১০০- ১৫০ ইউরোর মতো গুনতে হতে পারে। এটা করতে পর্তুগালের যে কোনো ট্যাক্স অফিসে যেয়ে করতে পারবেন।
৩য়ত - মেইন প্রসিডিউর হিসাবে পর্তুগালে আপনাকে বৈধ ভাবে প্রবেশের পর, ট্যাক্স কার্ড করার পর  জব/কাজের কন্ট্রাক্ট দেখাতে হবে মিনিমাম ৬ মাসের। আর পর্তুগালে এই জব কন্ট্রাক্ট মেনেজ করা অনেকটা দুস্কর বলা চলে। তবে বর্তমানে জন মেনেজ করা আগের তুলনায় একটু সহজ. নরমালি কাগজের জন্য এই জব কন্ট্রাক্ট টাকা দিয়ে বাঙালি, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান, আফ্রিকানদের কাছ থেকে কিনতে হয়। সে ক্ষেত্রে টাকার পরিমান ১৫০০, ২০০০ থেকে ২৫০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে (ক্ষেত্র বেধে কম বেশি হয়ে থাকে) যদি আপনার কোন বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন আপনাকে হেল্প করে জব কন্টাক্টে তাহলে এই টাকার খরচ থেকে বেঁচে যাবেন নিসন্দেহে। জব  কন্টাক্ট হাতে পাবার পর প্রধান কাজ হলো সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বারের জন্য আবেদন করা .
৪র্থত - পর্তুগিজ Social security number যা সংক্ষেপে NISS বলা হয়ে থাকে (.Número de Identificação de Segurança Social -NISS ) এটা আপনি যখন পর্তুগালে কোন মালিকের অধীনে কাজ করবেন বা যেকোনো দেশের মালিকের কাছ থেকে কাজের কন্ট্রাক্ট করালে এই নাম্বার এর জন্য কেবল আবেদন করতে পারবেন . সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার আবেদনের পর ৩০-৬০ দিন সময় লাগে আসতে। ক্ষেত্র ভেদে কারো বেশি কারো  সময় লাগে।
Social security Number আবেদনের পর আপনার বৈধতার মূল পর্ব শুরু . আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস সহ পর্তুগালের ইমিগ্রেশন পোর্টালে আপনার ফাইল এন্ট্রি করতে হবে . সেখানে আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট হবে .
সেইফ এন্ট্রির জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন : ?
https://sapa.sef.pt এটা হলো পর্তুগিজ ফরেইনার এন্ড বর্ডার সার্ভিসের ইমিগ্রেশন পোর্টাল যেখানে শুধু নতুন আবেদনকারি যারা তাদের ফাইল আপলোড করা হয় .
  • আপনার ভ্যালিড পাসপোর্ট
  • সেনজেন ভিসার কপি
  • পর্তুগালে লিগ্যাল  এন্ট্রি ডকুমেন্টস
  • পর্তুগালের ট্যাক্স  আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার .
  • পর্তুগালের প্রফ অফ এড্রেস
  • জব কন্টাক্ট
  • সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার ( যদি আবেদনের পরে অনেক লম্বা সময় লেগে যায় এবং সোশ্যাল  আসতে দেরি হয় তাহলে সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার দনের অফিস থেকে যে স্লিপটি দিবে সেটা দিয়ে ও সেইফ এন্ট্রি করতে পারবেন .
  • বাংলাদেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • যদি ইউরোপের অন্য কোন দেশে ১২ মাসের  অধিক থেকে থাকেন সে দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (অপশনাল )
তারপর অধীর আগ্রহে অপেক্ষার পালা . ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আপনার ফাইল যাচাই বাচাই করে ৯০ দিনের মধ্যে ই মেইল করবে তাদের যেকোনো সার্ভিস পয়েন্টে  এপয়েন্টমেন্ট নেয়ার জন্য . বর্তমান সময়ে ইমিগ্রান্টস খুব বেশি পরিমান আবেদন জমা করায় তাদের সার্ভিস কিছুটা মন্থর গতিতে চলছে . এপয়েন্টমেন্ট পেতে অনেক লম্বা সময় ৩-৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে . এপয়েন্টমেন্টর মেইল আসলে আপনি ওয়েবসাইটে আপনার ইউজার আইডি আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে ডেট নিতে পারবেন .
৫ম :  জব কন্ট্রাক্ট হাতে পাবার পর প্রত্যেক মাসে আপনাকে নিজের পকেট থেকে ২১০ ইউরো ( মিনিমাম সেলারি ৬০০ ইউরো এর জন্য এই ট্যাক্স ,তবে সেলারি বেশি দেখালে ট্যাক্স এর পরিমান বেশি হবে ) করে গুনতে হবে। নরমাল হিসাব হল আপনাকে পেপারস হবার আগ পর্যন্ত ট্যাক্স পে করতে হবে। আপনি শুদু মাত্র পেপারস পাবার জন্য কাগজে কলমে জব দেখাবেন অরিজিনালি আপনি নিজের পকেট থেকে সব টাকা খরচ করছেন। পর্তুগীজদের অধীনে জব পেলে এই সব টাকা সেভ হয়ে যাবে কিন্তু দুঃখের বিষয় পর্তুগালে অবৈধ অবস্থায় স্পেশাল কোন লিঙ্ক ছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় পর্তুগীজ জব পাবেন না , আর ভাষাগত একটা প্রবলেম ত  থেকেই যায়।
নরমালি যারা সেনজেন ভুক্ত দেশের ভিসা নিয়ে পর্তুগাল প্রবেশ করবে তারা মিনিমাম ৬ টা ট্যাক্স দেয়ার পর ইমিগ্রেশনে রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। সব ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে কপাল অতিশয় ভাল হলে ৬ টা ট্যাক্স দিয়েই রেসিডেন্স পারমিট পেয়ে যার তবে আবার অনেকের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর যারা বিশেষ করে ভিসা ছাড়া অর্থাৎ সাদা পাসপোর্ট নিয়ে পর্তুগাল প্রবেশ করেছেন তারা ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত রেসিডেন্স পেতে লিগ্যালভাবে পর্তুগালে অনেক সময় লেগে যেত কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে সেই আইনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে পর্তুগীজ বর্ডার অ্যান্ড ফরেইনার সার্ভিস (http://www.sef.pt/) ২০১৩ সালের আগে সাদা পাসপোর্টে এন্ট্রি যাদের পর্তুগালে তারা মিনিমাম ১৮-২৪ মাস ট্যাক্স পে করতে হত যা বর্তমানে ১২ থেকে ১৮ তে পরিবর্তন করা হয়েছে । এখন ভিসা ছাড়া যারা যারা পর্তুগালে পেপারস করতে চান তারা এই সুত্র অনুসরন করতে হবে অর্থাৎ আপনাকে মিনিমাম ১২-১৮ টি ট্যাক্স পে করে রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে ।
আরও কিছু ডকুমেন্টস লাগবে সেই বিষয় গুলো এখানে আলাদা ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হল।
বাংলাদেশী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রলায় থেকে সত্যায়িত করে আনার পর পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদ করে বাংলাদেশ এম্বেসী অফ লিসবন থেকে সত্যায়িত করতে হবে। তারপর পর্তুগালের ফরেইন মিনিষ্ট্রি থেকে সত্যায়িত করতে হবে.


  • পর্তুগাল এর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট + ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আগে বাধ্যতামূলক ছিল কিন্তু ২০১৯ সালের আগস্ট মাস  থেকে পর্তুগালের এবং ইউরোপিয়ান ক্রিমিনাল রেকর্ড সার্টিফিকেট (Contumacia) দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই .
  • আপনি যদি অন্য কোন দেশে ৬ মাসের বেশি অবস্থা করেন যেমন লন্ডন, সাইপ্রাস আয়ারল্যান্ড রোমানিয়া এই সকল দেশে ছাত্র ছিলেন পরে সেনজেন ভিসা নিয়ে ইউরোপ ডুকেছেন তাদের ক্ষেত্রে যে যেই দেশে অবস্থা করেছেন ওই ওই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে বাধ্যতামূলক। কিংবা ইতালিয়ান ভিসা নিয়ে ইতালি এসেছেন ৬ মাসের ও বেশি সময় ইতালি কাটিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও ইতালিয়ান পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে। অন্য কোন ভাষায় হলে সেটা কে ট্রান্সলেট করে শুধু নোটারি করতে হবে।
বর্তমানে ফরেইন কান্ট্রির যাবতীয় ডকুমেন্টস পর্তুগালের নোটারি ট্রান্সলেশন এর পর পর্তুগালের ফরেইন মিনিষ্ট্রি থেকে সত্যায়িত করতে হয় , স আপনি বাংলাদেশ সহ অন্য কোন দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে পর্তুগালে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কোনো  ব্যাবহার করতে চাইলে অবশ্যই পর্তুগালের ফরেইন মিনিষ্ট্রি করা থাকতে হ


আপনি যে ৬ টি ট্যাক্স প্রদান করেছেন সেটার সার্টিফিকেট যা  Social security office থেকে আপনি যতবার খুশি বিনা পয়সায় তুলতে পারবেন। তবে সেটার জন্য লম্বা লাইন দাড়াতে হবে।


Proof of address  আপনি যে মিউনিসিপালিটি তে থাকেন সেখান থেকে এই সার্টিফিকেট টা নিতে হবে . junta de freguesia এই অফিস থেকে নিতে হবে। আপনি যে এরিয়াতে থাকেন ওই খানকার junta de ফ্রেগুসিয়া থেকে নিতে ১০ ইউরো খরচ পড়বে। তবে ৩ দিন আগে আবেদন করতে হবে। এক দিনে ও নিতে পারেন তবে ৩০ ইউরো চার্জ দিতে হবে।


শেষ করার আগে পর্তুগাল রেসিডেন্স পারমিট পেতে হলে কত খরচ হবে তার একটা ছক বা হিসাব দিয়ে দেই সবার সুবিদারথে ।
ট্যাক্স কার্ড করতে – ১০.২০ ইউরো . অফিসিয়াল ফিস. (উকিল এর সাহায্য নিলে ১০০-১৫০ ইউরো )
জব কন্ট্রাক্ট – ১৫০০-২৫০০ ইউরো ( বর্তমানে অনেক জবের  সুযোগ আছে সো কাজ খুঁজে পেলে টাকা তা বেঁচে যাবে ,
ট্যাক্স প্রতি মাসে – ২১০ ইউরো ( মিনিমাম ৬-১০ মাস পে করতে হবে ধরে রাখেন যাদের পাসপোর্টে ভিসা রয়েছে) তবে সেটা যতদিন না আপনি অফিসিয়াল ডেট পাচ্ছেন ফিঙ্গার প্রিন্ট এর তত দিন পে করে যেতে হবে
ইমিগ্রেশন ফ্রি - ৫৩০ ইউরো, যেদিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেবে রেসিডেন্স পারমিটের জন্য সেদিন পে করতে হবে.
অ্যাডভোকেট এর ফ্রি -৩০০-৬০০ ইউরো।  আপনি নিজের যদি মনে হয় উকিলের দরকার নেই টুকটাক ভাষা পারেন তাহলে উকিল ছাড়াও যেতে পারেন .
আর যাদের ভিসা ভালিড থাকা অবস্থায় পর্তুগাল জান নি  বা যাদের কোনো ভিসায় ই নেই পাসপোর্ট একেবারে সাদা পাসপোর্ট তারা কি রেসিডেন্স পারমিট এর  জন্য আবেদন করতে পারবে?
উত্তর হা পারবেন তবে আপনার জন্য অনেক লম্বা সময় পর্তুগাল থাকা লাগবে . অফিসিয়াল আইনে আপনাকে ১২ মাসের কন্টিনিউ ট্যাক্স পে করেছেন এমন প্রমান দেখতে  হবে . ১২ মাস ট্যাক্স প্লাস আরো ৬ মাস ধরে নেন আপনার এপয়েন্টমেন্ট পেতে সময় লাগবে, তাহলে আপনাকে মোটামুটি ২ বছরের প্রিপারেশন নিয়ে এখনো হবে .
আরও একটু বিস্তারিত বললে - বর্তমান সময়ে যাদের লিগ্যাল এন্ট্রি নেই ইউরোপের অর্থাৎ ইউরোপে ভিসা নিয়ে প্রবেশ করেন নি কিংবা পাসপোর্ট কোন কারনে হারিয়ে ফেলেছেন তারাও পর্তুগাল গিয়ে পেপারস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন । ফল সরুপ ব্রিটেনে, ফ্রান্সে, ইতালিতে, গ্রিসে অবৈধ থাকা বেশির ভাগ ই পর্তুগালে পাড়ি জমাচ্ছেন । এখন প্রশ্ন হল কত সময় লাগতে পারে সাদা /ব্ল্যাংক পাসপোর্ট দিয়ে আবেদন করলে ? যারা ভিসা নিয়ে প্রবেশ করবে তাদের জন্য মিনিমাম ১৮০ দিন অর্থাৎ ৬ মাস ট্যাক্স পে করার পর রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য আবেদনের রুলস আছে আর সাদা পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে মিনিমাম ৩৬৫ দিন অর্থাৎ ১2 মাস ট্যাক্স প্রদান করে রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য আবেদনের রুলস । ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসা ইমিগ্রান্টদের চাপের কারনে বরতমানে সাদা পাসপোর্ট আর ভিসা নিয়ে এন্ট্রি করা মানুষের সমান ট্যাক্স দিয়ে আবেদন করতে হচ্ছে । আগে একটা সময় ছিল ফাইল জমা দেয়ার ১ মাসের মধ্যে অ্যাপইয়েন্টমেন্ট ডেট পাওয়া যেত কিন্তু এখন মিনিমাম আপনাকে ৬-১০ মাস অপেক্ষা করা লাগবে । কিন্তু পেপারস পাবেন যদি আপনার মালিকের / যে কোম্পানির আন্ডারে কাজ করেন অর সব ঠিক থাকে । এখন প্রশ্ন হল অ্যাপইয়েন্টমেন্ট ডেট পেলে আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগবে ?
মালিক পক্ষের ডকুমেন্টস -
১# ডিল্কেরেশান মালিক/ কোম্পানি থেকে যে আপনি এখনও জব করছেন । ( বাধ্যতামূলক )
এই ডকুমেন্টস  আপনার নিজের সংগ্রহ করতে হবে :
  • আপনার অরিজিনাল পাসপোর্ট +  কপি
  • পর্তুগালে লিগ্যাল এন্ট্রির প্রমাণাদি .
  • জব কন্ট্রাক্ট
  • আপনার লাস্ট ৩ মাসের সেলারি স্লিপ .
  • পর্তুগীজ ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার ।
  • পর্তুগীজ সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার ।
  • পর্তুগালের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (বাধ্যতামূলক না )
  • বাংলাদেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • যেসকল দেশের ৬ মাসের বেশি ছিলেন বা ভিসার মেয়াদ ১২ মাসের বেশি অই সকল দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • পর্তুগালের মিউনিসিপাল থেকে বর্তমানে যে জায়গায় অবস্থান করতেছেন তার প্রমানাদি - Attestado de Junta Freguesia  - প্রফ অফ অ্যাড্রেস বলে ইংলিশে ।
  • ইমিগ্রেশন অথোরিটির দেয়ার পুরন করা আবেদন  ফর্ম ।
  • সোশ্যাল সিকিউরিটি থেকে ডিক্লেয়ারেশন কত টা ট্যাক্স পে করেছেন , এটা  আপাতত না নিলে ও চলে যেহেতু তারা অনলাইনে দেখতে পারে।
সব ডকুমেন্টস যাচাই বাছাই করে  যদি আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নেয় ইমিগ্রেশন অথোরিটি তাহলে আপনাকে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে রেসিডেন্স কার্ড বাসায় পোস্ট করে সেন্ড করবে .প্রথম কার্ড ১ বছর মেয়াদি পাবেন ,  কার্ড রিনিউ করার পরে ২ বছর যদি কার্ড , এইভাবে টোটাল ৫ বছর থাকার পর আপনি পর্তুগালের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন যদি আপনার পর্তুগিজ ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেটে থাকে .
রেসিডেন্ট পারমিট পেলে আপনি আপনার পরিবার  আনতে পারবেন, পর্তুগালের যেকোনো ধরণের ব্যাবসা বাণিজ্য করতে . 
সংক্ষেপে পুরো বিষয় গুল তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । সময়ের সল্পতার কারনে আরও অনেক কথা বলার থাকলেও পারছি না । আরেক দিন টুকটাক অন্য বিষয় নিয়ে আলাপ হবে । আল্লাহ হাফেয ।.
নোট : পর্তুগালে পেপার্স করতে কেমন টাকা লাগবে ? এটার উত্তর দেয়া একটু ক্রিটিক্যাল আমার জন্য. তবে যারা পর্তুগাল যেয়ে জব মেনেজ করে নিতে পারবেন তাদের মূলত কোনো টাকা পয়সা খরচ হবে আর যারা জব টাকার বিনিময়ে দেখবেন এবং নিজে প্রতি মানসে ২০১০ ইউরো ট্যাক্স পে করবেন তাদের জন্য খরচের পরিমান অনেক বেশি হবে সেটা বুঝতে ই পারছেন . ধরে কন্ট্রাক্ট বাবদ ১৫০০ ইউরো ই দিলেন আর ৮-১০ মাস ট্যাক্স দিলেন ২১০ ইউরো প্রতি মাসে তাহলে খরচ কেমন হবে হিসাব করুন. এটা ছাড়াও উকিল বাবদ ৩০০ ইউরো এবং ইমিগ্রেশন ৫৩০ ইউরো তো আছেই . স যারা যাবেন নিজ দায়িত্বে একটা জব মেনেজ করে নেয়ার চেষ্টা করবেন . 
পর্তুগালে ফেমিলি আনা যাবে কি না রেসিডেন্স পারমিট পাবার পর ? 
উত্তর - জি আপনি আপনার বউ বাচ্চা এবং মা বাবা ( ওনাদের বয়স ৬৫ প্লাস হলে আনা সহজ ) আনা যাবে তবে বছরে ইমিগ্রেশনের বেঁধে দেয়ার নির্দিষ্ট পরিমান ইনকাম থাকতে হবে . পর্তুগালে ফেমিলি ইইউনিয়ন নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে পরে নিবেন .
পর্তুগালের রেসিডেন্স দিয়ে বিজনেস করা যাবে কি না ?
উত্তর : জি আপনি কার্ড পাবার পর যেকোনো ধরণের বিজনেসের লাইসেন্স নিতে পারবেন এবং বিজনেস ওপেন করতে পারবেন .
পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেতে কত দিন লাগবে কার্ড পেলে ?

উত্তর : আপনার প্রথম কার্ড ইস্যুর তারিখ হতে ৫ বছর পর আপনি পর্তুগীজ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন . তবে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে , যেমন আপনার নামে পর্তুগালে কোনো প্রকার ক্রিমিনাল কেইসে সাজার পরিমান ৩ বছরের বেশি হওয়া যাবে না , এবং আপনাকে পুরো ৫ বছর লিগালি ছিলেন সেটার প্রমান এবং পর্তুগীজ ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেটে (মিনিমাম A২ ) শেষ করে দেখতে হবে . 
ধন্যবাদ সবাইকে . বানানের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিযে দেখবেন।

Monday, November 11, 2019

পর্তুগালে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন নিয়ে বিস্তারিত তথ্যে - পর্ব ১


পর্তুগালে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন নিয়ে বিস্তারিত তথ্যে 




পর্তুগালে উচ্চশিক্ষা :- 

আসসালামু আলাইকুম। পর্তুগাল - সমৃদ্ধ ও সুন্দর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত দেশ সমূহের একটি। ইউরোপের একবারে পশ্চিমে আটলান্টিকের পাড়ে পর্তুগালের অবস্থান। নতুন করে বর্তমান সময়ের পর্তুগাল সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছুই নেই আমি মনে করি . বর্তমান ফুটবলের জাদুকর রোনালদো এর পর্তুগালের ই বাসিন্দা। ৩ দিকে সমুদ্র (আটলান্টিক মহাসাগর আর একদিনে স্পেনের বর্ডার . ইউরোপিয়ন উনিয়নের সবচেয়ে বেশি ইমিগ্রান্ট ফ্রেন্ডলি কান্ট্রি হচ্ছে এই পর্তুগাল বর্তমান সময়ে। পড়াশুনার পাশাপাশি রয়েছে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ। ইউরোপীয়ন উইনিয়নের সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পর্তুগালের নাম এবং বিশের ৫ নাম্বার মোস্ট পাওয়ারফুল পাসপোর্ট এর অধিকারী এই পর্তুগাল। আসুন এক নজরে পর্তুগালের উচ্চশিক্ষা নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয় গুলো জেনে নেই.

পর্তুগালে মত ৪৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৭৪ টি পলিটেকনিক, ৬ টি  মিলিটারী একাডেমি রয়েছে . পড়াশুনার লেভেল ৩ ভাগে ভাগ করা আছে. ১ম সার্কেল - ব্যাচেলর ডিগ্রী , ২য় সার্কেল - মাষ্টার্স ডিগ্রী , থার্ড সার্কেল - পি এইচ ডি ডিগ্রি। প্রথমে বলি ব্যাচেলর লেভেলে ইংলিশে ডিগ্রী প্রোগাম খুব কম উনিভার্সিটি ই আছে যারা অফার করে , তবে এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ে অনেক বিষয় ইংরেজীতে পাঠদান করানো হয়  এবং অনার্স পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ইংরেজি ও বেশির ভাগ পর্তুগিজ ভাষায় পড়ানো হয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় পর্তুগাল কিছুটা অনুন্নত হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশ্বে দেশটির সুনাম রয়েছে। পর্তুগালে রয়েছে অনেক পুরাতন ও ভাল মানের বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করে আপনি সহজেই বিশ্ব বাজারে নিজেকে উপযোগী করে তুলতে পারেন। যেহেতু অনার্সের তেমন সুযোগ নেই ইংলিশ পড়ার সেক্ষেত্রে আমরা মাস্টার্স এবং পিএইচডির দিকে বেশি জোর দিব. 


কি  কি বিষয়ে পড়তে পারবেন ?
পর্তুগালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স, মাস্টার্স, পোষ্ট-গ্রাজুয়েশন ও পিএইচডি ছাড়াও প্রায় সকল বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়। নিন্মোক্ত সাবজেক্ট গুলোতে আপনি চাইলে ইংলিশে পড়তে পারবেন মাস্টার্স এবং পিএইচ ডি লেভেলে :- Accounting, Architecture, Business, Economics, Engineering, English, Hospitality, Information Technology, Law, Media & Journalism, Pharmacy, Public Administration, Public Health, Social Science, Social Welfare, Travel & Tourism etc.
তাছাড়া এই বিষয় গুলো নিতে কেউ মাস্টার্স করতে চাইলে বৃত্তির ব্যাবস্থাও আছে - 
  • Masters in General Engineering 
  • Masters in Finance 
  • Masters in Management and Leadership
  • Masters in Computer Sciences 
  • Masters in Biomedical Engineering  
কখন আবেদন করবেন?

এখানে সাধারণত বছরে ০২টি সেশনে আবেদনের সুযোগ আছে। আবেদনের সময়কাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেব্রুয়ারিতে স্বল্পসংখ্যক বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে।
নামকরা কিছু পাবলিক  উনিভার্সিটির তালিকা - 
Public universities of Portugal
• ISCTE - Lisbon University Institute
• University of the Azores
• University of Algarve (includes polytechnic schools)
• University of Aveiro (includes polytechnic schools)
• University of Beira Interior
• University of Coimbra
• University of Évora (includes polytechnic schools)
• University of Lisbon
• University of Madeira (includes polytechnic schools)
• University of Minho (includes polytechnic schools)
• Universidade Nova de Lisboa
• University of Porto
• University of Trás-os-Montes and Alto Douro
আরো অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলোর নাম উল্লেখ করা হয় নি. যারা পর্তুগালের সকল লিস্টেড উনিভার্সিটি একনজরে দেখে নিতে কেন তারা নিচের লিংকে গিয়ে দেখে নিবেন , রাঙ্কিং সহ দেয়া আছে - https://www.4icu.org/pt/a-z/

তাছাড়া  বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের অনাগুনা বেশি নিচের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে -
University of Lisbon 
University of Porto 
Católica Lisbon Schoolof Business and Economics 
Polytechnic Institute of Bragança 
Polytechnic of Leiria 

এই গেল উনিভার্সিটি সিলেকশনের কাজ . জার জার পছন্দ মতো সাবজেক্ট খুজার দায়িত্ব আপনার . কোন প্রোগ্রামে আপনি পড়বেন সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট করে লিখলাম যদিও অনেকে উল্লেখ করেছেন কমেন্টে ফর এক্সাম্পল - আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে সেই সেই ক্ষেত্রে পড়া যাবে কি না ? আবার বলি উনিভার্সিটি সিলেক্ট, আপনার প্রিভিয়াস স্টাডির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনি চাইলে আপনার মতো করে সাবজেক্ট সিলেকড করে নিতে পারবেন। এত অল্প সময়ে সবার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট পড়া যাবে সেটা খুঁজে দেয়া আমার জন্য দুরূহ ব্যাপার। অনুরোধ থাকবে নিজে খুঁজে নেয়ার .
এখন কাজের কথা আসি . অনেকে জানেন নাকথা থেকে শুরু করবেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রস্তুতি অনেক বিশাল একটা বেপার। আপনি বিদেশে পড়তে আসবেন আর যদি সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি না থাকে তাহলে তাহলে দেশে  ই প্রথম ধাক্কা টা খাবেন, আর এই জন্য পড়তে আসার আগে কি কি প্রস্তুতি নিবে সেটা আলাপ করি . মনে করে আপনি বাহিরে মাস্টার্স করতে আসবেন। আপনার দেশের উনিভার্সিটির লাস্ট সেমিস্টারে থাকা অবস্থা থেকে  টোফেল, আইইএলটিএস এর, জি  আর আই, এর প্রিপারেশন নেন. বাংলাদেশ থেকে যেহেতু আইইএলটিএস, টোফেল  ছাড়া আর অন্য কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্টের সুযোগ নাই সেহেতু আপনাকে এই দুইটার প্রতি নজর দিতে হবে. আইইএলটিএস এর ব্যান্ড স্কোরের বেপারে বলার কিছু নাই , ইউরোপিয়ান কাঠামো অনুযায়ী আপনাকে লেভেল বি অথবা ৫.৫ মিনিমাম তুলতে হবে ইউরোপের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার ক্ষেত্রে ( ব্যাচেলর ) মাস্টার্সের ক্ষেত্রে লেভেল সি ( ৬-৬.৫). থাকতে হবে . 

এখন কথা হলো পর্তুগালে আইইএলটিএস লাগে কি না উনিভার্সিটি যে আবেদনের ক্ষেত্রে ? 

উত্তর - না বাধ্যতামূলক না . কিন্তু এখানে কথা আছে উনিভার্সিটি আবেদনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক না সব উনিভার্সিটিযে কিন্তু এম্বাসী আপনাকে ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সির সার্টিফিকেটে চাইবে, যদি আপনার থাকবে আপনি এক্সট্রা বেনিফিট পাবেন এবং ভিসা পাবার ক্ষেত্রে সাপোর্ট হিসাবে কাজ করবে। 

যে সকল ইংলিশ টেস্ট পর্তুগালের উনিভার্সিটির কাছে গ্রহণযোগ্য তার তালিকা নিচে দেয়া হলো.
  •  IELTS 
  • TOEFL iBT
  • C1 Advanced/ C2 Proficiency
  • PTE A
পর্তুগালের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদনের ধাপ গুলো সংক্ষেপে -

প্রথম ধাপ : 

আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যাবতীয় কন্টাক্ট ই মেইলে করতে হবে . কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকলেই আপনি এনরোলমেন্ট অফিসার বা এডমিশন অফিসের তথ্যে সংগ্রহ করে তাদের ই মেইলে কি কি নির্দিস্ট জিনিসের বেপারে জানতে কেন সুন্দর করে লিখে একটা ই মেইল করে দিবেন। তারা আপনাকে ২/৩ দিনের মধ্যে আবেদনের যাবতীয় লিংক সহ রিপ্লে দিবে . 

তারপর আসি কি কি ডকুমেন্টস লাগবে আবেদন করতে ?
ডেডলাইন অনুসরণ করে 
 আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পোর্টালে আবেদনপত্র পূরণ করে তা নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হবে। অথবা আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস ( নিচে লিস্টেড ) এডমিশন অফিসে ই  মেইল  করতে পারেন।  

  • একাডেমিক সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি, 
  • ইউরোপাস সিভি, 
  • পাসপোর্টের স্ক্যান কপি, 
  • আবেদনকারীর ছবি,
  •  রিকোমেনডেসান লেটার (অপশনাল) 
  • মটিভেসান লেটার 
  • আইইএলটিএস অথবা মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্টিফিকেট
  • এপ্লিকেশন ফি ( উনিভার্সিটি ভেদে ভিন্ন হয় তবে ৫০-৬০ ইউরো পরিমান হয়ে থাকে ) ফেরৎ যোগ্য হবে. 
এডমিশন অফিস আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস দেখে পারফেক্ট থাকলে সব কন্ডিশোনাল লেটার ইস্যু করবে। টিউশন ফ্রির কিছু টাকা পে করে আপনি মেইন অফার লেটার পাবেন . 

২য় ধাপ  : 

উনিভার্সিটি আপনাকে সিলেক্ট করলে আপনাকে ভিসা আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে. যেহেতু বাংলাদেশে পর্তুগালের কোনো দূতাবাস নেই সেহেতু আপনাকে ভারতের নয়াদিল্লিস্থ পর্তুগালের দূতাবাসে যেয়ে ভিসার আবেদন করতে হবে. আর আপনি পর্তুগালে পড়তে বা জব ভিসা আসতে চাইলে আপনাকে লং টার্ম ভিসা বা ন্যাশনাল ভিসার (ডি ভিসা )    আবেদন করতে হবে. পর্তুগাল যেটাকে রেসিডেন্স ভিসা বলে থাকে।  এমবাসিযে যাবার আগে আরো কিছু জিনিষ মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো ডকুমেন্টস সত্যায়ন। পর্তুগাল আবেদনের আরেকটা মেইন ঝামেলা হলো যাবতীয় ডকুমেন্টস পর্তুগালের দূতাবাস দ্বারা সত্যায়ন দরকার পরে. আর সেই ক্যা করতে চাইলে ইন্ডিয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই . পর্তুগাল দূতাবাস সত্যায়ন করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে এডুকেশন মিনিষ্ট্রি, ফরেইন মিনিষ্ট্রি থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে, তারপর বাংলাদেশ হাই কমিশন নিউ দিল্লি থেকে সত্যায়িত করতে হবে - ফাইনাল কাজ হলো পর্তুগালের দূতাবাসের সত্যায়ন। আপনি আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস সত্যায়ন করতে পারবেন দূতাবাসের নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাদ্ধমে।  আর ডকুমেন্টস সত্যায়নের কাজটির জমা এবং ডেলিভারির দায়িত্ব নিয়েছেন বিএফএস গ্লোবাল ইন্ডিয়া লিমিটেড। আপনি নিউ দিল্লির শিবাজী স্টেডিয়ামে নেমে বিএসফে যেয়ে পর্তুগালের কাউন্টারে জমা দিতে পারবেন সত্যায়নের জন্য .  সেই জন্য আপনাকে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে জিতে হবে ভি এফএসে - https://pt.vfsglobal.co.in/

উল্লেখ্য যে বর্তমানে পর্তুগালের সকল প্রকার লং টার্ম ভিসার আবেদন ভিএফ এস গ্লোবার ইন্ডিয়া জমা নেন এবং ভিসা ডিসিসনের কাজ দূতাবাস কর্তৃক প্রদানের পর আবার বিএফ এস সেটা ডেলিভারি দেন . তারা জাস্ট মাদ্ধমে হয়ে কাজটি করতেছেন। সো আপনাকে পর্তুগালের ভিসার জন্য ডকুমেন্টস সত্যায়নের কাজ এবং ভিসা আবেদন জমা দানের কাজ উভয়টা ই ভি এফ এসে করতে হবে . শুধুমাত্র ইন্টার্ভিউ দেয়ার জন্য আপনাকে দূতাবাসে যেতে হবে অন্যথায় নয়. 

৩য় ধাপ ভিসা আবেদন : 
লং টার্ম ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে যা যা  ডকুমেন্টস লাগবে :

  • Passport or other document for travelling that has a validity of at least 3 months more than the visa
  • A complete National visa application form.
  • Visa application Fees (Payable by Card or Cash at VFS)
  • Passport type photos ( 35*45 mm)
  • Police Clearance certificate ( From Bangladesh) if anyone wants to apply from except your home country you must collect PCC from your current country of residence.
  • A recognised certificate stating completion of high school/Bachelor’s degree
  • Transcripts of academic records
  • International/ Schengen health insurance 
  • Proof of accommodation (minimum 3 months)
  • Vaccination records (if any)
  • Proof of admission in a higher education institution/work contract/ invitation letter/offer letter
  • Proof of means of subsistence/ Bank solvency certificate from your sponsor 
  • Expected travel itinerary ( air tickets reservation) 
এমবাসি যে ডকুমেন্টস সাবমিশনের পর ১৫/৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য কল করা হবে এমবাসিতে। এমবাসি আপনাকে পূর্ববর্তী পড়াশুনা সম্পর্কে, ব্যাংক ব্যালান্স সম্পর্কে, স্পন্সরশীপ যে দেখাবে তার টাকা উৎস কি সে সম্পর্কে, কেন পর্তুগাল এবং কেন নির্ষদিষ্ট প্রোগ্রাম বেশ নিলেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। আপনাকে সব গুলো প্রশ্নের উত্তর যথাযত দিতে হবে . ইদানিং এমন কারণ দেখিয়ে রিজেক্ট করতে দেখি যেখানে লিখা - ইন্টারভিউ না কি কনস্যুলার অফিসারকে তেমন আকর্ষণ করে নি . স ইন্টারভিউ এর জন্য প্রিপারেশন দরকার আছে বলে আমি করি .

এখন একটা কথা/ জিজ্ঞাসা : কেন পর্তুগালে পড়তে আসবেন ? 


আমাকে যদি এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে উত্তর তা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এই ভাবে দিব - 
প্রথমত : পর্তুগালের শিক্ষা ব্যাবস্থা ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত মানের এবং পর্তুগালের সকল ডিগ্রী আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। 
২য়ত : এখানে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম টিউশন ফি দিয়ে পড়াশুনা করা যায়.
৩য়ত : এখানে থাকা খাওয়া/ লিভিং এক্সপেন্স ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম . ৩০০-৩৫০ ইউরোর মধ্যে যাবতীয় খরচ বহন করা পসিবল। 
৪র্থ কারণ : পর্তুগাল অভিবাসন ফ্রেন্ডলি কান্ট্রি, এখানে জব মেনেজ করে খুব সহজেই নিজের টিউশন ফ্রি তুলে সম্বভ .
৫ম কারণ : শেষ কারণ হিসাবে বলবো ইউরোপে তথা পুরো বিশ্বের বেস্ট কান্ট্রি ইমিগ্রান্টদের অন্য সেটা হলো পর্তুগাল বর্তমান সময়ে . পর্তুগাল একমাত্র দেশ যেখানে যারা লিগ্যাল ভিসা নিয়ে পর্তুগাল আসেন সেটা হোক পর্তুগালের টুরিস্ট ভিসা, ন্যাশনাল ভিসা ( জব ভিসা ) স্টুডেন্ট ভিসা বা অন্য দেশের যেকোনো লিগ্যাল ভ্যালিড ভিসা সেটা দিয়ে আপনি পর্তুগালে রেসিডেন্স পারমিট নিতে পারবেন . সেই বিস্তারিত নিয়ে আসতেছি নেক্সট পোস্ট এ .  পর্তুগাল একমাত্র দেশ যারা কি না সকল প্রকার পর্তুগিজ ভিসা/রেসিডেন্স কে পারমেন্ট ব্যাসিস হিসাব গণনা করে যেটা ইউরোপের কোনো দেশ করে না . অর্থাৎ আপনি পর্তুগালের স্টুডেন্টস ভিসায় আস্তে পারলে রেসিডেন্স পার্মিট ইস্যুর তারিখ থেকে ৫ বছর থাকতে পারলে যে কোনো ক্যাটাগরিতে আপনি পি আর বা পর্তুগালের নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য এলিজিবল হবেন . একটা উদাহন দেয় - নরওয়েতে আপনি স্টুডেন্টস ভিসা গেলে সেটা পার্মানেন্ট রেসিডেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে গণনা করা হবে না , শুধু মাত্র যখন স্কিল্ড জব ভিসা নিয়ে থাকা শুরু করবেন পড়াশুনা শেষে তখন থেকে গণনা শুরু হবে , আবার ফিনল্যান্ডে কথা বলি পি আর আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি জোট বছর স্টুডেটস হিসাবে থাকবেন সেটা কে তারা হাফ হিসাবে গণনা করবে। যেমন ৪ বছর পড়াশুনা করলেন পি আর আবেদনের ক্ষেত্রে বা নাগরিকত্বের জন্য সেটাকে অর্ধেক হিসাবে ধরা হবে . বাট পর্তুগাল একেবারে ব্যাতিক্রম যেদিন থেকে পর্তুগালের রেসিডেন্স ইস্যু হবে সেদিন থেকে আপনি ৫ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন . 
আর অনেক কারণ আছে কিছু বলি যেহেতু বলা শুরু করেছি . আপনি চাইলে স্টুডেন্টস থেকে জব, কিংবা রেসিডেন্সিয়াল স্ট্যাটাস ইন্ডিপেন্ডেন্ট করে নিতে পারবেন জা দিয়ে আপনি চাইলে একাধারে পড়াশুনা, নিজের নামে বিজনেস, বা অন্যের অধীনে জব এমনকি স্বপরিবারে বসবাসের মতো সুযোগ নিতে পারবেন ,উপরোক্ত কারণের প্রেক্ষিতে বলো পর্তুগাল কে পড়াশুনার জন্য বেশ নেয়া সবচেয়ে উত্তম কাজ আপনার জন্য .
স্কলারশিপের সুযোগ আছে কি না ? 
পর্তুগালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ। যা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। যেমনঃ Erasmus mundus Scholarship, এটা ইউরোপিয়ান উনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চশিক্ষা বৃত্তি . সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হিসাবে গণ্য করা হয়. এরাসমুস মুন্ডস স্করলাশীপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের পাবেন এই লিংকে - http://bit.ly/2X9PV6L.  FCT Scholarship - Fellowships & Grants এটা পর্তুগালের খুব সম্মানজনক একটা বৃত্তি, পি এইচ ডি এবং পোস্ট ডক্টরেট এর জন্য এটা প্রদান করা হয় .প্রতি বছর ২৫০-৩০০ ফাইনাল আবেদন তারা নিয়ে থাকেন। বিস্তারিত জানতে তাদের ওয়েবসাইট কয়েক করুন - https://www.fct.pt/apoios/bolsas/concursos/ . তাছাড়া প্রতিটা উনিভার্সিটি তাদের  Internal Scholarship এর ব্যাবস্থা থাকেন। ভালো রেজাল্টের ভিত্তিতে আপনি সর্বোচ্চ ৫০-৭৫% টিউশন ফি ছাড় পেতে পারেন। ইন্টার্নাল উনিভার্সিটি বৃত্তির জন্য নির্দিষ্ট ডেডলাইন থাকে সো  আপনাকে ওই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে  হবে. 

পর্তুগালে পড়তে কেমন টাকা খরচ হবে ? 
টিউশন ফি/ লিভিং এক্সপেন্স কি মেনেজ করতে পারবো কি না ইনকাম করে ? 
আসুন এক নজরে দেখে নেই পর্তুগালের পাবলিক আর প্রাইভেট উনিভার্সিটি গুলো টিউশন ফি কেমন ? 
ইউরোপিয়ান উনিয়নের নাগরিক হলে  যে কেউ পর্তুগালের লোকাল যারা অল্প সল্প টিউশন ফি দিয়ে পড়তে পারবেন, যেহেতু আপনি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস আপনার ক্ষেত্রে ফি একটু বেশি হবে . ব্যাচেলর, মাস্টার্স কিংবা পি এইচ ডি লেভেলের পুরো কোর্স ফি আমেরিকান উনিভার্সিটির ২ সেমিস্টারের ফি এর সমান , এর মনে হলো পর্তুগাল  অনেক সস্তায় পড়াশুনা করা সম্বব. 

ব্যাচেলর, মাস্টার্স  এইক্ষেত্রে ৯৫০ - ১২৫০ ইউরো প্রতি একাডেমিক ইয়ার।
পি এইচ ডির ক্ষেত্রে ২৫০০-৩৫০০ ইউরো পর একাডেমিক ইয়ার . 
তবে কৈমব্রা এরিয়া যে ফ্রি আরো কম যেখানে ব্যাচেলর মাস্টার্স এর ক্ষেত্রে ৭০০ ইউরো পর ইয়ার এবং 
পি এইচ ডির ক্ষেত্রে ২০০০-২৫০০ ইউরো খরচ ধরা হয়েছে পর এক্যাডেমিক ইয়ার . 
এখন বলি লিভিং এক্সপেনসেস নিয়ে - পর্তুগালের অনেক সস্তায় থাকা খাওয়া হয়ে যায় . ৩০০-৩৫০ ইউরো এর মধ্যে থাকা খাওয়া পসিবল, ৪০ ইউরো ট্রান্সপোর্ট খরচ প্রতি মাসে যা আপনার পুরো লিসবন জন কভার করবে, ছাত্র হিসাবে আপনি গেলে আপনার জন্য ট্রান্সপোর্ট খরচ ৩০ ইউরো অনলি . বেপার আর খুলামেলা বলার দরকার নেই আমি মনে করি . যেখানে নরওয়ের অসলো যে আপনাকে ১০০ ইউরো ট্রান্সপোর্ট খরচ গুনতে হবে সেখানে ৩০ ইউরো কিছুই না ,

এবার আসি ইনকাম নিয়ে :

পর্তুগাল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের টপ ১০ এ নাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক থেকে কিন্তু টপ ১৫ এ আছে ঠিক ই . পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটিভিয়া, লিথুনিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, কয়েক রিপাবলিক ক্রোয়েশিয়া, এইসব দেশ থেকে অনেক এগিয়ে আছে . পর্তুগালের সর্বনিম্ন সেলারি ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ৬০০ ইউরো , তবে সবাই বাঙালি  ইন্ডিয়ান জব এর বাহিরে জব কবলে মিনিমাম থেকে বেশি ইনকাম করা পসিবল। দেশি দের সাথে জব করলে ঘন্টার হিসাব থাকবে না অথচ মিনিমাম থেকে কম বেতন দিবে আপনাকে , আপনি চাইলে পর্তুগিজ জব মেনেজ করতে পারবেন সেটা একটু সময় সাপেক্ষ . তবে পর্তুগালে ২০২০ সালের দিকে ৭৫০ ইউরো মিনিমাম সেলারি হবে সেটা প্রেসিডেন্ট নিজে ওয়াদা দিয়েছেন। ৭০০/৮০০ ইউরো ইনকাম পসিবল ফুল টাইম জব করে . যাদের বছরের ৩০০০ ইউরো টিউশন ফি তাদের পক্ষে কাজ করে সেটা মেনেজ করা পসিবল . জবের অনেক সুযোগ আছে জব নেই শুধু শুনবেন বাঙালি এরিয়াতে গেলে ই . কারণ দুনিয়ার সব দেশের মানুষ এখন পেপার্স এর আশায় লিসবন এ ঘাঁটি করছে.  আজকের মতো এখানেই রাখবো . পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে , অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে ২য় পড়বে লিখবো . এখন ছাত্র হিসাবে আবেদনের জন্য কিছু জিনিষ মাথায় রাখবে হবে , পর্তুগালের এমবাসি বাংলাদেশি ছাত্র ছাত্রী যারাই বিগত বছর গুলোতে আবেদন করেছেন তাদের ম্যাক্সিমাম ভিসা রিজেক্ট করেছে খুব সিলি কারণ দেখিয়ে, স্কলারশিপ হোল্ডার ছাড়া খুব কম ই ভিসা পেয়েছেন % হিসাব করলে ৫% ও না . আপনাকে যে জিনিস গুলো মাথায় রাখতে হবে -

  • আপনি জেনুইন স্টুডেন্টস এবং পড়াশুনা করার জন্য ই কেবল পর্তুগাল আসতেছে সেটা প্রমান করতে হবে . পারলে স্করলারশিপ সহ চেষ্টা করেন. 
  • ব্যাংক সলভেন্সি খুব ভালো হতে হবে . যে আপনার স্পনসর হতে তার সাথে আপনার সম্পর্ক কি কিংবা তার ইনকাম সোর্স কি সেগুলোর বেপারে যেন আপনি এমবাসির কাছে স্পষ্ট জবাবদিহি করতে পারেন সেটার জন্য তৈরি থাকতে হবে .
  • স্পন্সরের একাউন্টে অস্বাভাবিক বড়  মাপের লেনদেন হলে সেটার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন কি না ..
  • জাল এডুকেশনাল সার্টিফিকেট বা ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেটে উপস্থাপন নাকরা এমবাসিতে , 
  • ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি সহকারে পর্তুগালে এডমিশন নেয়ার চেষ্টা করা . 
  • পূর্ববর্তী স্টাডির সাথে যেন বর্তমান স্টাডির কিছুটা হলেও মিল থাকে সেটা মাথায় রাখতে হবে . ধরেন আপনি ইংলিশ লিটারেচার নিয়ে অনার্স করেছেন এখন পর্তুগালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে পড়তে চাইলেন সেটা আধো কারো কাছে বোধগম্য নয় .      

পর্তুগাল আবেদনের দরকারি যাবতীয় লিংক একসাথে : 
Study & Research ইন পর্তুগাল - https://www.study-research.pt/ 
এরাসমুস মুন্ডস স্কলারশিপ - http://bit.ly/2X9PV6L
গ্রান্টস & ফেলোশিপ - http://bit.ly/33zC9Nf 
ডকুমেন্টস সত্যায়ন ও ভিসার আবেদন জমা -  https://pt.vfsglobal.co.in/
পর্তুগালের সকল উনিভার্সিটি লিস্ট -  https://www.4icu.org/pt/a-z/
পর্তুগালের এমবাসির ঠিকানা নিউ দিল্লি - https://www.novadeli.embaixadaportugal.mne.pt/pt/

বি: দ্র : কারো সাবজেক্ট রিলেটেট কম বেপারে এখানে আলোচনা করার মতো কিছু উল্লেখ করিনি। কে কোনো সাবজেক্টে পড়বেন সেইটা নিজে উনিভার্সিটি ওয়েবসাইট দেখে খুঁজে নিবেন দোয়া করে .  কোনো বিষয়ে জানার থাকলে কমেন্টে জানাবেন . আর বানানের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন . ধন্যবাদ . 

পর্তুগালের অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে ২য় পর্ব লিখবো আগামী সপ্তাহে .. সাথেই থাকুন - বাংলাদেশী স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইন ইউরোপ

Wednesday, October 30, 2019

List of the German Scholarships for International Students

Best German Scholarships for International Students


DAAD Postgraduate Program for
Developing Countries’ Students, 2019-2020

German
Academic Exchange Service (DAAD) is offering a DAAD postgraduate program for
Developing Countries. The applicants must be Graduates with at least two years’
professional experience. The
award will be in monthly
payments of € 850 for
graduates or € 1,200 for
doctoral candidates.
Provided By:  German Academic Exchange Service (DAAD)
Course:  Graduates and Doctoral program
Award:  € 850, € 1,200
Application Deadline: Open
Apply Now

International Applicants in Germany, 2019

If you are an international student wishing to get a scholarship in
Germany, then you are lucky. Alexander von Humboldt Foundation is
offering Up to 500 Humboldt Research Fellowships for scientists and
scholars. The scholarships will be awarded worth up to 5800 EUR.
Provided By:  Alexander von Humboldt Foundation
Course:  Doctorate or comparable academic degree
Award:  Total 5800 EUR
Application Deadline:  Open
Apply Now

One-Year Program for International Students in Germany, 2020

Bavarian-Czech Academic Agency is
inviting international students for One-Year program in Germany. Students can
apply for the masters, PhD, and research programs at the Bavarian universities.
The studentship will provide the monthly (735, – €) and amounts to 8.820, – €
per year.
Provider: Bavarian-Czech Academic Agency
Course:  Postgraduate degree
Award: 735, – € per month and 8.820,- € per year
Deadline: December 1, 2019, and February 28, 2020

UNITECH
International program in Germany, 2020

RWTH Aachen University inviting candidates to apply for
NITECH International program in Germany. To take benefits of this program, students
must enroll in the undergraduate and postgraduate degree coursework at RWTH
Aachen University. The sponsorship will be awarded worth up to 1,000 Euros
towards your travel expenses.
Provider: University
of London
Course:  Bachelor and master degree
Award: 1,000 Euros
Deadline: January 5, 2020

HHL Part-time MBA –
Global Diversity Scholarship for International Students

The Part-time MBA – Global Diversity Scholarship is now
available at HHL Leipzig Graduate School of Management. Applicants from all
countries for the part-time MBA Program are eligible. The scholarship will
provide a tuition waiver of up to 25% of the total tuition costs for the
part-time MBA Program.
Provided By: HHL Leipzig Graduate School of Management
Course:
 MBA Program
Award: 
25% of the total tuition
Eligibility:
 MBA candidates with an international background
Application Deadline: 
End of October for the intake in March.
Apply Now

Merit Scholarships for International Students at Universität Hamburg

The Universität Hamburg is delighted to offer a merit scholarship program. The program is designed
to supports outstanding international students and doctoral researchers of all
subjects and degree levels. Merit scholarships are awarded for 2 semesters
(total of 12 months).
Provided By: Universität Hamburg
Course: 
Master
Award:
 €1,000 per month
Application Deadline: 
15 April, 2020
Apply Now

Mind &
Brain and DAAD Scholarships for International Students in Germany, 2020

Applications are open for Mind & Brain and DAAD
Scholarships for International Students to study in Germany. To be eligible,
the candidate must be the best international student coming to Germany for doctoral
studies. The scholarship will provide € 1,200 per month, travel allowance,
payments towards health, accident and various other benefits.
Provider: DAAD
and Berlin School of Mind and Brain
Course:  PhD degree
Award: Varies
Deadline: January 15, 2020
Apply Now

ZAH Gliese
Postdoctoral Fellowship Program at Heidelberg University

The Zentrum für Astronomie der Universität Heidelberg is
proud to offer ZAH Gliese Postdoctoral
Fellowship Program for international students. It provides a competitive stipend and a generous research budget for
up to three years to outstanding postdoctoral researchers in any area of
astronomy or astrophysics.
Provided By: The Zentrum für Astronomie der Universität Heidelberg
Course: 
Postdoctoral program
Award: 
Competitive stipend and a generous research budget
Eligibility:
 International Students
Application Deadline: 
November 30, 2019
Apply Now

International Student
Fellowship at Ruhr University Bochum

Ruhr University Bochum is pleased to invite applications for its International Student Fellowship. To
apply, applicants must hold a Master’s, Diploma or equivalent degree in
neuroscience, biology, chemistry, engineering, mathematics, psychology or other
neuroscience-related fields, including an experimental thesis. The winners of the program will receive
a scholarship of 1300 € for a maximum of 6 months.
Provided By: Ruhr University Bochum
Course: 
Ph.D. program
Award: 
€1300
Eligibility:
 International Students
Application Deadline: 
Open for applications
Apply Now

Fore more details keep on eyes our fb groupe - Bangladeshi Students Association in Europe

সাম্প্রতিক পোষ্টসমূহ - Recent Posts

 

Visitors


ShareThis

আমাকে ফলো করুন >>

Total Visitors


 
^ Back ToTop